পুরুলিয়া:- ফের চন্দন গাছ চুরির অভিযোগ উঠল বাঘমুন্ডিতে। পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি থানার ভুরশু গ্রামের মনিচরণ গরাইয়ের। তিনি রবিবার জানান,গত বুধবার ১ লা ফেব্রুয়ারি,সাত সকালে খবর পায় যে,আমার তিনটি চন্দন গাছ কেটে দুষ্কৃতীরা নিয়ে গেছে। পড়ে রয়েছে শুধু গুড়ি।পাশাপাশি তিনি আরও জানান,এলাকার কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার্স এসে ছিল দেখতে তাদেরকে মৌখিক ভাবে চুরির ঘটনা জানানো হয়েছে।এছাড়া তিনি আরও জানান,গত রবিবার তিন জনকে পুলিশ ধরেছে তোরাং গ্রামের চন্দন গাছ চুরির ঘটনায়।মনে ওই তিন জনেই আমারও তিনটি চন্দন গাছ চুরি করেছে।
এই প্রথম নয়।গত অক্টোবরে বাঘমুন্ডি বনাঞ্চলের বুড়দা বীট অফিস চত্বর থেকে একটি চন্দন গাছ চুরি হয়।ওই একই দিনে আরও কয়েকটি জায়গা থেকে একই কায়দায় চন্দন গাছ চুরির অভিযোগ উঠে।তদন্তে নেমে ঘটনায় সন্দেহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
জেলা পুলিশ সুপার ওই সময় জানিয়ে ছিলেন,চুরির পিছনে আন্তরাজ্য চক্রের হাত রয়েছে।তবে ফের একই এলাকা থেকে প্রায় একই কায়দায় চন্দন গাছ চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।দ্রুত চুরির কিনারা করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া,বাঘমুন্ডি থানার তোড়াং গ্রামে চন্দন গাছ চুরির ঘটনায় দুই মহিলা সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ।ধৃতদের গত শনিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে দুই মহিলার ১৪ দিনের জেলা হেফাজত হয়। ও এক ব্যক্তিকে পাঁচ দিনের হেফাজতে নেয় বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ। ধৃতদের বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। বাঘমুন্ডি থানার উত্তমডি এলাকায় অস্থায়ী ভাবে তারা থাকতো বলে জানা যায়। ধৃত জালাল ভাই, তার স্ত্রী ও ছেলের বৌ গ্রেফতার। পলাতক জালালের ছেলে।