পুরুলিয়ায় শ্বেত পলাশের সন্ধান, একটি বিশেষ প্রতিবেদন

পুরুলিয়া জুড়ে আটটি জায়গায় অন্তত ১৫ টি বিরল শ্বেত পলাশ বৃক্ষের সন্ধান পেল বনদপ্তর । আর তা পেতেই বনাঞ্চল অনুযায়ী ১৫ গাছকে তালিকাভুক্ত করে সংরক্ষণ করতে পুলিশ প্রশাসনের সাথে বিশেষ আলোচনায় পুরুলিয়া বনবিভাগ। মূলত এর পরিপ্রেক্ষিতে গাছের চারপাশে কাঁটাতারের ফেন্সিং দিয়ে বনদপ্তর ও প্রশাসনের তরফে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি মাটিতে পড়ে যাওয়া শ্বেত পলাশ ফুল সংরক্ষণ করে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে চারা তৈরি করে এই সাদা পলাশ বৃক্ষের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা বনদপ্তরের। নিঃসন্দেহে অত্যন্ত সাধু উদ্যোগ। 

 পুরুলিয়ার পলাশের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বাংলার পর্যটন। লাল পলাশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাসন্তী-হলুদ সেই সঙ্গে বিরল শ্বেত পলাশও। তবে গত বছর থেকেই এই শ্বেত পলাশ নিয়ে হইচই শুরু হয়।তবে গত বছর থেকেই এই শ্বেত পলাশ নিয়ে হইচই শুরু হয়। গাছের দাম, লিজ দেওয়া নিয়ে ৮০ লক্ষ টাকা দর ওঠে। এর পরই শ্বেত পলাশের গাছে ক্ষত দেখা যায়। এই বিষয়টি নজরে আসতেই সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় ওই গাছগুলির রোগ নিরাময়ে পদক্ষেপ নেয়। হুড়ার রাকাব জঙ্গল ও পুঞ্চার কেন্দার কোনা পাড়ায় ওই গাছের ছাল কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার (SP) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শ্বেত পলাশের বিষয়ে বনদপ্তর আমাদের জানিয়েছে। পুরুলিয়ার পলাশ বাংলার পর্যটনে যুক্ত। বনদপ্তর আমাদের কাছে যেভাবে সাহায্য চাইবে, আমরা তার সব রকম ব্যবস্থা করবো।” পুরুলিয়া বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুড়া, পুঞ্চা, বান্দোয়ান, বলরামপুর, বাঘমুন্ডি, রঘুনাথপুর এলাকায় একটি ও অযোধ্যা পাহাড়ের ২ টি এলাকা মিলিয়ে ১৫ টি শ্বেত পলাশের সন্ধান মিলেছে।

পুরুলিয়া বনবিভাগ ও কংসাবতী উত্তর বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “প্রাকৃতিক কারণে এই শ্বেত পলাশ গাছ থেকে যে ফুল ঝরে পড়ছে তা কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে সেই ফুলের জিন পুল সংরক্ষণ করে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে চারা গাছ তৈরি করে এই গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। যাকে ‘ভেজিটেটিভ প্রপাগেশন’ বলা হয়। এই গাছগুলিকে যাতে বাঁচিয়ে রাখা যায়, তার জন্য সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।” বনদপ্তর কৃত্রিমভাবে এই শ্বেত পলাশের বংশবিস্তারের পরিকল্পনা নিয়েছে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.