শুভ বিজয়া'র পবিত্র মুহূর্তে মিলন, সংহতি ও ঐক্যবদ্ধতার সুর বেজে ওঠে, সম্পাদকীয়


 অমরেশ দত্ত, পুরুলিয়া: শুভ বিজয়া দশমির পবিত্র মুহূর্তে রূপবৈচিত্র্য আজও মানুষকে আকৃষ্ট করে। সারা মানবাজারে মিলন,সংহতি ও ঐক্যবদ্ধতার সুর বেজে ওঠে। মূলত পন্ডিতমন্ডলী ও মেলা কর্তৃপক্ষ একসাথে বসে শারদীয়া দুর্গাপূজার প্রাক্কালে শারদীয়া দুর্গা পূজার নির্ঘণ্ট তৈরি করেন।বিশেষ করে দোলা তোলা এবং দোলা বিসর্জনের সময় স্থির করা হয়।শতাব্দী কালের প্রাচীন প্রথা মেনে সমস্ত মেলা কমিটির কর্তারা পাথরমহড়া রাজবাড়ির নির্ঘণ্ট মেনে চলেন।সপ্তমীতে দোলা নিয়ে পুকুরে যাওয়া থেকে বিসর্জন পর্যন্ত সবটাই রাজবাড়ির সময়-নির্দেশ অনুসারে পালিত হয়।
 রাজবাড়ী থেকে মূল পূজোর সময় রাজলক্ষ্মীর ঘট আসে।রাজবাড়ীর বলরাম জিউয়ের মন্দির থেকে গঙ্গা দেবীর ঘট ও একটি তলোয়ার নিয়ে আসা হয়।এই দিন থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত একটি নিরবচ্ছিন্ন ঘিয়ের প্রদীপ জ্বলে। সপ্তমী ও বিজয়ার দিন রাজবাড়ী থেকে মানবাজারের অন্যান্য পারিবারিক ও বারোয়ারী বা গোষ্ঠীবদ্ধ আটটি পূজার একসাথে দোলা তোলার অনুষ্ঠান হয়। সপ্তমী থেকে বিসর্জন পর্যন্ত যাতে সব মেলা কমিটি সময় মেনে চলতে পারেন,এ জন্য রাজবাড়ি থেকে তোপ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।তিথি ধরে রাজবাড়ি থেকে নির্দিষ্ট সময়ে তোপ ফাটানোর ব্যবস্থা রয়েছে। 
  মানবাজার নামোপাড়ার গোপাল সায়েরে, আগমনী ও বিসর্জন এই দুই অনুষ্ঠান দেখার জন্য অগণিত মানুষের ভিড় হয়।রাজপুরোহিত আগমনীর দিন আগমনীর আর বিসর্জনের দিন বিসর্জনের মন্ত্র পাঠ করেন।এই পবিত্র মুহূর্তের আবহাওয়া ও রূপবৈচিত্র্য আজও মানুষকে আকৃষ্ট করে।সারা মানবাজারে মিলন,সংহতি ও ঐক্যবদ্ধতার সুর বেজে ওঠে।বিজয়া দশমীর দিন দুর্গা মন্দিরে অপরাজিতা পূজা, শুভ পুণ্যাহ,রাজলক্ষ্মীর রাজগৃহে প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.