পঞ্চায়েতের নিয়ম বহির্ভূত টেন্ডারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে ও সাংবাদিক সম্মেলন

দীনেশ চন্দ্র কুইরী, পুরুলিয়া:- পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের শাসক দলের গ্রাম পঞ্চায়েতে নিয়ম বহির্ভূত টেন্ডারের বিরুদ্ধে আবেদন জানালেন বাঘমুন্ডি ব্লক অফিসে পাঁচ জন ঠিকাদার।

জানা গিয়েছে, গত  ২৭ তারিখ পুরুলিয়া বাঘমুন্ডি ব্লকের তুন্তুরী সুইসা অঞ্চলের গ্রাম পঞ্চায়েত শাসক দলের অন্তর্গত।ওই পঞ্চায়েতের পেড়েতোরাং বুথের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা প্রভাতী মাহাতো এক জন গ্রাম পঞ্চায়েত সঞ্চালক।এবং ওর স্বামী একজন ঠিকাদার।অথচ ওই সঞ্চালকের স্বামী টেন্ডার পাচ্ছে কিন্তু আমরা পাঁচ জন টেন্ডার পাচ্ছি না।
অভিযোগের ভিত্তিতে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, এস.ডি.ও(ঝালদা), 
পিঅ্যান্ড আরডি আধিকারিক পুরুলিয়া, নির্বাহী সহায়িকা তুন্তুরী সুইসা গ্রাম পঞ্চায়েত, নির্মাণ সহায়ক তুন্তুরী সুইসা গ্রাম পঞ্চায়েত এর কাছে লিখিত আকারে জানিয়েছি।এর পরেও কোন সুরাহা না হলে আদালতের দারস্ত হওয়ার হুশিয়ারি দেন।


আজ বুধবার পুরুলিয়া বাঘমুন্ডি ব্লকের তুন্তুরী সুইসা অঞ্চলের পাঁচ ঠিকাদাররা সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা জানান, বাঘমুন্ডির তুন্তুরী সুইসা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গত ২৭ তারিখ আমাদেরকে ফর্ম তুলতে দেয়নি তাই আমরা ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কারণ ওই পঞ্চায়েত অফিসে সঞ্চালক দের নিয়ে কোন মিটিং হয়নি।শুধু মাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উপ প্রধান ও পেড়েতোরাং সংসদের সদস্যা তথা পঞ্চায়েত অফিসের সঞ্চালক প্রভাতী মাহাতো স্বামী বাঘুরাম মাহাতো এই তিন জন মিলে সমস্ত কাজ করছে আইন শৃঙ্খলা ভেঙ্গে।এই পরিপেক্ষিতে প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কিরণ কালিন্দী কে লিখিত অভিযোগ দিলে সে নেননি।তাই আমরা বিডিও সাহেব কে লিখিত অভিযোগ দি।এছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আমাদের পাঁচ জনকে বলেছে আমরা নাকি নিম্ন মানের কাজ করি।সে কাজ তো নির্মাণ সহায়ক দেখবে।সে কি করে বলল আমরা নিম্ন মানের কাজ করেছি।এখন বর্তমানে যে নির্মাণ সহায়ক আছে তাকে দিয়ে নয় ,বাহির থেকে নির্মাণ সহায়ক এনে সমস্ত কাজ দেখা হোক। কারণ গত কয়েক দিন আগে পানীয় জলের জন্য অনেক নলকূপ খনন করা হয়েছে যা ৩০০ ফুট গর্ত করা উচিত কিন্তু শুধু ১০০ ফুট গর্ত করে ছেড়ে দিয়েছে।গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এই সব কাজের জন্য উচ্চমানের কমিশন লাগে। এবং আমাদের টেন্ডার ফর্ম না দেওয়া হয়নি।শুধু দুর্নীতিতে ভরে রয়েছে।প্রধান বলেছে তুমরা যা পারবে কর আমি ফর্ম দিবনা বলেছে।তাই আমরা লিখিত জানিয়েছি।

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কিরণ কালিন্দী জানান,আমরা সমস্ত আইন শৃঙ্খলার নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার নোটিশ করেছি।তারা সঠিক সময়ে ফর্ম তুলতে না আসলে কিছু করার নেই। কারণ যারা সঠিক সময়ে ফর্ম জমা দিয়েছে তারা কাজ পেয়েছে।তারা কাজে বাধা দিচ্ছে কারণ দিদির উন্নয়ন দেখে তারা রাজনৈতিক ভাবে বদনাম করার চেষ্টা করছে।তারা পুরোপুরি মিথ্যা কথা বলছে বলে দাবি।

ওই পঞ্চায়েতের পেড়েতোরাং সংসদের সদস্যার স্বামী বাঘুরাম মাহাতো জানান,তারা যে টেন্ডারের কোথা বলছে তাতে আমিও ফর্ম ভরেছি কিন্তু কাজ পায়নি। কারণ তারা যে কোথা বলছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের পশ্চিম লোক্যাল কমিটির সম্পাদক গোপাল মাহাতো জানান,ঠিকাদার ফর্ম তুলতেই পারে।কাউকে না দেওয়াটা পুরোপুরি নিয়ম বহির্ভূত। কারণ ঠিকাদাদের পার্টি করে কি না বলে ঠিকাদারদের এমনি করা উচিৎ নয়।এটা পুরোপুরি সরকারের ক্ষতি কারণ এখানে প্রধান ও উপ-প্রধান পুরোপুরি সমস্ত টেন্ডার নিজের ইচ্ছা মত করে।ওই দিন নির্বাহী সহায়িকার অনুপস্থিতিতে টেন্ডার পাশ হল কি করে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.