এমনি চিত্র ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায় বৃহস্পতিবার।
ঘটনাটি পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি ব্লকের তুন্তুরী সুইসা অঞ্চলের আটটি গ্রামের করুন কাহিনী।
ওই আটটি গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ঝাড়খন্ড থেকে হাজার হাজার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের যাতায়াত হল বাড়েগাড়া সেতু।
গত এক বৎসর আগে বর্ষার সময় হড়পা বানে সেতুতে ধস নেমে যায়।
জানা যায় এই সেতু রেলের অধীনে।
এখন এলাকাবাসীর একটাই প্রশ্ন কবে এই নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে।
ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত একাংশ যাতায়াতকারীরা জানান,গত বৎসর হটাৎ করে ওই নদীর মধ্য হড়পা বানের জল চলে আসায় এই ধস।সামনে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন তার আগে কি মিটবে এই সমস্যা ? পাশাপাশি তারা আরও জানান,এই রাস্তা দিয়ে আটটি গ্রামের বেশির ভাগই কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। তারা দৈনন্দিন জীবনের ওই সেতু দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।যেমন,নেতাজী সুভাষ মার্কেট, স্কুল, কলেজ,ব্লক,থানা ও হাসপাতাল যেতে হয়।ওই মরণ ফাঁদ সেতুর উপর দিয়ে।
এবিষয় নিয়ে শাসক দলের অঞ্চল সভাপতি মিহির কুইরীকে ফোনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান,ওই সেতু কয়েক লক্ষ টাকায় মঞ্জুরি হয়।কিন্তু রেল অনুমতি না দেওয়ায় কাজ হয়নি।
বিষয়টি মাথায় রয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কোথা বলবো বলে আশ্বাস দেন।
অন্য দিকে বাঘমুন্ডি বিধান সভার ভারতীয় জনতা পার্টির মণ্ডল ৩ এর সভাপতি বিভূতি রজক জানান, তুন্তুরী সুইসা গ্রাম পঞ্চায়েত শাসক দল দ্বারা পরিচালিত।তারা ওই সেতুর গার্ড অয়েল তৈরি করেছে।কিন্তু সেতু নির্মাণ করেন নি। কারণ তারা উন্নয়নে ব্যার্থ।এছাড়া ওই সেতু দিয়েই হাজার হাজার কৃষক সব্জি বিক্রি করতে ওই মরণ ফাঁদের সেতুর উপর দিয়ে যেতে হয়। কারণ,ওই সেতু নির্মাণ এর জন্য আমাদের সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো সাত সাত বার চিঠি দিয়েছেন জেলা শাসকের কাছে এনওসি র জন্য।তাই রাজ্য কেন্দ্রকে দায় চাপিয়ে উন্নয়নে ব্যার্থ।
অখিল ভারতীয় কংগ্রেস ব্রিগেডের জেলা সভাপতি পবন মাছুয়ার জানান,বলার তো কিছুই নেই, কারণ সবাই জানে এই অঞ্চলের ২১ টি সংসদের মধ্য ৮টি সংসদের যে সাধারণ মানুষ রয়েছেন।তারা সত্যি ওই বাড়েগাড়া সেতুর উপর নির্ভরশীল।যা এখন মরণ ফাঁদের জন্য নরক যন্ত্রণায় ভুগছে। কারণ,এই রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের টানা পড়ান তার জন্য এলাকাবাসী এই যন্ত্রণায় ভুকছে।পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার যদি মিলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলে। তা কয়েক মুহূর্ত মধ্য সমাধান হবে।
এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কিরণ কালিন্দীকে ফোনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান,ওই সেতু তো কেন্দ্র সরকারের অধীনে।যদি মাননীয় সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এলাকার মানুষের সুবিধার্তে করে দেন।তাহলে খুবই ভালো হবে।এছাড়া আমাদের যা সহযোগিতা লাগবে আমরা করবো।
সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের পশ্চিম লোক্যাল কমিটির সম্পাদক দেবব্রত মুখার্জি জানান,ওই সেতু যখন বর্ষায় ধস নেমে। ওই সময় সরজমিনে এলাকার বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো,জেলা পরিষদের অচিরা চরিত ক্ষুদ্র শিল্প ও বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ নমিতা সিং মুড়া ও সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক পরিদর্শনে আসেন।কিন্তু এতদিন কেন কোন হল না ? এছাড়া তিনি আরও বলেন,আমরা সূত্রের খবর যে ওই সেতু কেন্দ্র সরকারের অধীনে পড়ে।তাই মনে হয় হয়নি।