দীনেশ চন্দ্র কুইরী, পুরুলিয়া:- স্কুলের পঠন-পাঠন থেকে শুরু করে মিড-ডে মিল ও স্কুলের পরিবেশ রয়েছে খুব সুন্দর।রয়ে গেছে শুধু একটি সমস্যা যা পানীয় জল।
বুধবার,এমনি চিত্র ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়।পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি ব্লকের বাঘমুন্ডি দু'নম্বর চক্রের বীরগ্রাম অঞ্চলের বীরগ্রাম আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক নেপাল চন্দ্র কুমার জানান,স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা হল ১৯৩ জন।স্কুলে রয়েছে একটি ডিপ বৈরিং কিন্তু মেশিন খারাপ।জলের মধ্য রয়েছে আয়রনের পরিমাণ বেশী।রয়েছে একটি নলকূপ তাতে জল নিকাশি ব্যাবস্থা না থাকায় সামনের বাড়ির লোক বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ ওই নলকূপের জল ব্যবহার করার পর ওই জল বাড়ির দিকে চলে যায়।এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের।গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিও কোন সুরাহা হয়নি। সংবাদ মাধ্যমের সমস্যা সমাধানের আর্জি জানান।
মিড ডে মিলের রাধুনি বেদনা জানান,দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছি। কারণ সামনে কোন নলকূপ না থাকায়।আমাদের মিড ডে মিল রান্না করার জন্য স্কুল থেকে প্রায় ১ থেকে ২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বহাল ক্ষেতের কুয়ো থেকে জল নিয়ে আসতে হয়।
পাশাপাশি ওই স্কুলের ছাত্র বীজ মাহাতো জানান,আমরা স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না করা খাবার খাওয়ার পর থালা ধুতে স্কুলের সামনে একটি ছোট্ট হাপায় ধুই।সেই খানেই আমরা সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা থালা ধুই।কিন্তু ওই হাপার জলের মধ্য দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তবুও বাধ্য থালা ধুতে হয়।
ওই স্কুলের আর একজন শিক্ষক নবীন সিং মুড়া জানান,আমাদের স্কুলের সমস্ত দিকেই ঠিক রয়েছে।পাশাপাশি এই স্কুল ভোটের সময় ভোট কেন্দ্র হয়।কিন্তু একটাই সমস্যা পানীয় জলের।এছাড়া আমরা মিড ডে মিলের রান্নার খাবার সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের খাওয়ানোর পর বেচেঁ গেলে পাশের গ্রামের দুঃস্থ অসহায়দের বসিয়ে খাইয়েদি।
ওই নলকূপের জল ব্যবহার করার পর জল বয়ে যায় একটি পরিবারে বাড়ির দিকে।ওই পরিবারের মঞ্জু মাঝি জানান,জল ব্যবহার করার পর জল আমাদের বাড়ির দিকে চলে আসে।তাই আমরা কাট দিয়ে বন্ধ করে রেখেছি।এছাড়া আমরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকে সাপ জানিয়ে দিয়েছি।ওই নলকূপের জল ব্যবহার করার জল যতদিন না পর্যন্ত নিকাশির ব্যাবস্থা হচ্ছে।আমরা নলকূপ ব্যাবহার করতে দিবো না।
সর্বশেষে বীরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মৃত্যুঞ্জয় রজক জানান,ওই স্কুলের যে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে।এছাড়া ওই স্কুলের নলকূপটি বন্ধ রয়েছে।জল নিকাশি না থাকার জন্য। তা আগামীকাল থেকে জল নিকাশির কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন।
এখন প্রশ্ন একটাই কবে মুক্তি পাবে ওই স্কুলের ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে মিড ডে মিলের রাধুনিরা সেই আসায় দিন গুনছে।