চিকিৎসকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে যে শিশুদের বয়স দু’বছরের কম, তাদের ক্ষেত্রে ভয়ের পরিমাণ বেশি। বয়স এক বছরের কম হলে ঝুঁকি আরও বেশি। এই বয়সের শিশুদের ভীষণ সাবধানে রাখতে হবে।অ্যাডিনোভাইরাসে শিশুদের ফুসফুস ও শ্বাসনালি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সময়ে প্রতিরোধ ক্ষমতার বাড়ানোর দিকে ছোট থেকে বড় সকলেই নজর দিতে হবে। এই সময়ে খাওয়ার পাতে কী কী রাখবেন?
তেতো: ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রতি দিন খাবারের পাতে রাখুন তেতো। হয় নিম পাতা, নয় তো উচ্ছে। এ সবের অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীর মজবুত রাখে ও এই সময়ে বাতাসে উড়ে বেড়ানো রোগ-জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।
প্রোটিন: শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিনও চাই ভরপুর। খাবার পাতে যে কোনও রকমের প্রোটিন রাখুন রোজ। মাছ, মাংস, সয়াবিন, মুসুর ডাল, ডিম এ সব থেকে পাওয়া পুষ্টিগুণ শরীরকে ভিতর থেকে মজবুত করবে।
লবঙ্গ-দারচিনি-কাঁচা হলুদ: ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বেশ কিছু মশলাপাতি ব্যবহারের কথা বলা হয়। তার মধ্যে লবঙ্গ-দারচিনি-কাঁচা হলুদও রয়েছে। রান্নায় যোগ করুন লবঙ্গ ও দারচিনি। এই সব মশলাপাতিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
কাঁচা হলুদ: কাঁচা হলুদেরও অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল উপাদান শরীরকে অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচায়। হয় টুকরো করে কেটে চিবিয়ে খান, নয়তো কাঁচা হলুদ বেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান প্রতি দিন।
রসুন: সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, এতেই নাকি অর্ধেক রোগবালাইয়ের শঙ্কা কমে যায়। প্রাকৃতিক ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ঠাসা এই সব্জির অনেক কার্যকরী দিক রয়েছে।
টক দই: টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য ভীষণ উপযোগী। টক দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান লিভারকে যেমন সুস্থ রাখে তেমনই এর জেরে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
জল: শরীরে জলের ভাগ কমলে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে তেমনই ডিহাইড্রেশন থেকে হওয়া নানা সমস্যায় জেরবার শরীর সহজেই ভাইরাসের শিকার হয়। তাই জলের বিষয়ে সচেতন হন।