দীনেশ চন্দ্র কুইরী, বাঘমুন্ডি:- প্রায়দিনই বন্য হাতির তাণ্ডবে বাঘমুন্ডি এলাকা জুড়ে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি।আবার গভীর রাত্রে ঝাড়খন্ড থেকে দুটি দলছুট বন্যহাতি বাঘমুন্ডি ব্লকের ঝাড়খন্ড লাগোয়া এলাকায় প্রবেশ করায়,গ্রাম গুলোতে আতঙ্ক এবং কৃষকের ফসল নষ্ট।
ঘটনাটি পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের বাঘমুন্ডি অঞ্চলের তনতন গ্রামের সংলগ্ন জঙ্গলে দলছুট দুটি বন্য হাতি আসায় আতঙ্কে রয়েছে একাধিক গ্রামবাসীরা।
গত সোমবার রাত্রে ওই দলছুট দুটি বন্য হাতি তনতন গ্রামের সামনে চাষ করা কৃষি জমিতে প্রবেশ করে।এবং চাষ করা জমির ফসল নষ্ট করে দেয় ৫ বিঘার ও বেশি জমিতে।
আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টা নাগাদ ওই গ্রামের কৃষক জুরু মালাকর জানান,গত সোমবার রাত্রে ওই দল ছুট দুটি বন্য হাতি চাষ করা প্রায় ৫ বিঘার ও বেশি জমির লাউ ও ধান ফসল নষ্ট করে দেয়।আমাদের চার জন কৃষকের।আমি কৃষি ঋণ নিয়ে চাষ করে ছিলাম।এখন কি ভাবে ঋণ শোধ করব ? তা সংবাদ মাধ্যমে সাহায্যর আর্জি জানান।
এছাড়া তিনি আরও জানান,অনেকবার আবেদন করেও ক্ষয় ক্ষতির কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি।আজকে আমার ২ বিঘা,ফুলচাঁদ লোহার ১ বিঘা, বিবিষণ লোহার ১ বিঘা ও প্রদীপ সিং সর্দারের ১ বিঘা জমির লাউ ও ধান নষ্ট করে দিয়েছে।
বাঘমুন্ডি তৃণমুল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক কমিটির সদস্য বাবলু সিংহ জানান,এই বন্য হাতির উপদ্রব প্রায় দিন লেগেই আছে।কারণ,কৃষকরা কৃষি ঋণ নিয়ে চাষ করে থাকে।এই রকম ঘটনা ঘটলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যাতে এই মত আরও কৃষকদের না হয়।সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানাই।
অন্যদিকে,বাঘমুন্ডি বনাঞ্চলের আধিকারিক শাহানবাজ ফারুক আহমেদ জানান,ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জমিতে গিয়ে সরজমিনে দেখা হয়েছে।এছাড়া বনকর্মী ও হুলা পার্টি দ্বারা দলছুট দুটি বন্য হাতির উপর নজরদারিও চালানো হচ্ছে।এবং মানুষকে বারবার সচেতন করা হচ্ছে যাতে জঙ্গলে কেউ প্রবেশ না করে।এবং ওই দলছুট দুটি বন্য হাতি কোনো মতেই কোনো ক্ষয়ক্ষতি আরও না করে।তার জন্য তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য বিশাল বন কর্মী ও হুলা পার্টি দ্বারা পাহারা চালানোও হচ্ছে।এমনকি সাধারণ মানুষ বিপদের সম্মুখীন না হয়। তার জন্য বিশেষ করে বারবার সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে।
তনতন গ্রামের একাংশ স্থানীয়দের দাবী, প্রায় দিনই ঝাড়খন্ড পেরিয়ে মাঠা বনাঞ্চলের ঝাড়খন্ড লাগুয়া গ্রামের সংলগ্ন জঙ্গলে দুটি দলছুট বন্য হাতি অবস্থান করে রয়েছে।এর ফলে ঝাড়খণ্ড লাগুয়ায় অবস্থিত গ্রাম গুলো আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ,এর আগেও বন্য হাতি প্রবেশ করে কিন্তু এমনি ঘটনা হয়নি।তাই এই বন্য হাতির উপর নজরদারি বেশি করে চালানো হয়।